তামিলনাড়ুতে রাতভর ফিনজালের তাণ্ডব, নিহত ৩
অনলাইন রিপোর্ট
2024-12-01T03:22:04.901Z
ভারতে শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজাল’। দেশটির উত্তর তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়টি। তামিলনাড়ুর উপকূল এলাকায় আঘাত হানার সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। চেন্নাইয়ে ‘ফিনজালের’ কারণে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ফিনজাল রোববার সকালে শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এখন তা অবস্থান করছে পুদুচেরির কাছেই। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে আরও শক্তিক্ষয় করে এই গভীর নিম্নচাপ সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে তামিলনাড়ুর উপকূল হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে ‘ফিনজাল’। গভীর রাত পর্যন্ত ‘ল্যান্ডফল’ বা আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া চলেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত ‘ফিনজাল’ তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির ওপর দিয়ে সাত কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে এগিয়েছে। তার অভিমুখ ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।
রোববার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। চেন্নাইয়ে মৃত ব্যক্তি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি রাতে ঝড়ের সময়ে এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঝড়ের কারণে রোববার ভোর পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভোর চারটার পর আবার বিমান ওঠানামা শুরু হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শনিবার সকালে জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। কিন্তু সন্ধ্যায় ঝড়ের দাপট বেশি থাকায় পরিষেবা চালু করা যায়নি। বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ের বিমানবন্দরের একাংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বাতিল করা হয়েছে অনেক বিমান। এর ফলে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
চেন্নাইগামী কিছু বিমান অন্য শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করা যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। উপকূল সংলগ্ন চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন। পুদুচেরিতেও ডুবে গিয়েছে নিচু এলাকায়। অনেক স্কুল এবং হাসপাতালও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। ঝড়ের কথা মাথায় রেখে আগেই তামিলনাড়ু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্কুল-কলেজ-অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল শনিবার।
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছিল সরকার। উপকূল সংলগ্ন এলাকা থেকে শনিবারই বহু মানুষকে সরিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে একাধিক ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ফিনজাল দুর্বল হলেও এখনই বৃষ্টি থামছে না চেন্নাইয়ে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, দক্ষিণ কর্নাটক এবং কেরালায় ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলতে পারে। রোববার অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এমএমএস
ফোন : ০১৫৪০৫০৩৬৩৪
ই-মেইল: [email protected]