ফোন : ০১৫৪০৫০৩৬৩৪
ই-মেইল: [email protected]
চিকিৎসকদের দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে তারা যেন দেশে ফিরে আসে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক বিদেশ গিয়ে ফিরে আসেননি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেমিনারের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সত্যিই খুব খুশি হব আমরা, যদি ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারি। আমি চাই আমাদের চিকিৎসকরা যেন ভালোভাবে যেকোনও বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। একইসঙ্গে সেই শিক্ষাটা যেন দেশেই থাকে। এতে এ দেশের মানুষ উপকার পাবে।
প্রশিক্ষণের সময়ের বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরণীতে দেখেছি বলা আছে, ২ থেকে ৩ দিনে আসলে কোনও প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু ঠিক। তিন দিনের জন্য গিয়ে ডাক্তাররা কী প্রশিক্ষণ নিবেন। তিন দিনের প্রোগ্রাম, সভা, সিম্পোজিয়াম হতে পারে। তবে আমি মনে করি ট্রেনিংয়ের সময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা যেন হাতেকলমে বিষয়গুলো শিখতে পারি। দীর্ঘ ট্রেনিংয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। সেটা এক-দুই সপ্তাহের হোক।
প্রশিক্ষণ শেষে ফেরত না আসা প্রসঙ্গে নূরজাহান বেগম বলেন, আমার কাছে চল্লিশের বেশি ডাক্তারের তালিকা আছে যারা বিদেশে গিয়ে দেশে আর আসেননি। তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও তারা দেশে আসেননি। একটা দরিদ্র দেশ হিসেবে এত অর্থের অপচয় আমরা কীভাবে মেনে নেব। এ বিষয়গুলো যেন পরিষ্কার উল্লেখ থাকে। দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক, তাতে সমস্যা নাই। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে তারা যেন দেশে ফিরে আসে, এটাই আমার চাওয়া।
নূরজাহান বেগম বলেন, আমাদের পুরো স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসাব্যবস্থা কেন্দ্রিক। রোগ যেন না হয়, সেজন্য যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা আমাদের নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্তই জরুরি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি খুব আশ্বস্ত এবং গর্বিত যে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই কোভিড চলাকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্টরা কীভাবে দেশেই চিকিৎসা সেবা দিতে হয় তা দেখিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয় নাই। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন, আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
এসময় ডিমেনশিয়ার এবং মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার নিয়ে আমাদের দেশ থেকেই গবেষণা হওয়া উচিত হলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা.মোহাম্মদ নাজমুল হুদা প্রমুখ।