ফোন : ০১৫৪০৫০৩৬৩৪
ই-মেইল: [email protected]
2024-12-01T01:58:06.355Z
ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ওরফে মিন্টুকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি ডিক্রিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক এবং ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত।
এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে জেলার নগরকান্দা উপজেলার মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুইটি মামলা রয়েছে। তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে অপর মামলায় ‘শৌন এরেস্ট’ দেখানো হবে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে শহরের সিএন্ডবি ঘাট টোল প্লাজার সামনে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে পোস্টার টাঙানোর সময় আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা হিরু শেখকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
গত ৫ আগস্টের পরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কিছুদিন পর এ ঘটনায় নিহত হিরুর ছেলে রুমন শেখ চেয়ারম্যান মিন্টুকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শহরের কমলাপুর এলাকার আজাদ শেখ বাদি হয়ে মিন্টুকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান চেয়ারম্যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার নগরকান্দা উপজেলার মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা হলেও চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এবং ডিক্রিরচরের পদ্মা নদী থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ রয়েছে মিন্টুর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক কবির আহমেদ বলেন, মেহেদী হাসান মিন্টুকে রোববার (১ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।