বাংলাদেশের ৬৫ শিক্ষার্থী পেল ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড’
অনলাইন রিপোর্ট
2024-11-30T15:18:04.644Z
ব্রিটিশ কাউন্সিল ও কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় আউটস্ট্যান্ডিং কেমব্রিজ লার্নার অ্যাওয়ার্ডস (ওসিএলএ) ২০২৪-এ ৬৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। গত জুন ২০২৪-এ কেমব্রিজ পরীক্ষায় অসামান্য কৃতিত্বের জন্য এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। চলতি বছরের ওসিএলএ-তে ৯৮ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ১২১টি পুরস্কার অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাপী এক মিলিয়নেরও বেশি শিক্ষার্থী প্রতি বছর কেমব্রিজের এ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোর্সে অংশ নেয়।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী পরীক্ষা আয়োজন করে আসছে কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন। এতে মোট চারটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়– টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড, হাই অ্যাচিভমেন্ট, টপ ইন কান্ট্রি এবং বেস্ট অ্যাক্রস। মোট ১২১টি পুরস্কারের মধ্যে ৬৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সম্মানজনক ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কার অর্জন করেছেন। যারা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেছেন তাদের এ সম্মানে ভূষিত করা হয়। তাছাড়া ৯৮ জন শিক্ষার্থী কেমব্রিজ ও লেভেল, কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এএস ও এ লেভেল এবং কেমব্রিজ আইজিসিএসই বিষয়গুলোতে অসাধারণ ফলাফলের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার শাহীন রেজা। এসময় তিনি বলেন, কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাওয়ার্ডিং বডি। স্কুল এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ বছর বাংলাদেশ থেকে ‘টপ ইন ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড’ অর্জনকারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অর্জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কঠোর পরিশ্রমের প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজ এবং ঢাকায় নিযুক্ত একটিং ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান। এ ছাড়া কেমব্রিজের ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রড স্মিথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার জন্য একটি ভিডিও বার্তা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল পরীক্ষায় ‘টপ ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কার অর্জনকারী ৬৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অসাধারণ ফলাফলের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জেমস গোল্ডম্যান বলেন, যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ক্যামব্রিজ আন্তর্জাতিক পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে তাদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন। যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধন। আমাদের ডায়াস্পোরা, শিক্ষা, বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক যোগসূত্রে গড়ে উঠেছে। এ পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের অসাধারণ সাফল্য তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সাম ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রাইম্যান বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক বিভিন্ন পরীক্ষা ও অন্যান্য কোয়ালিফিকেশনস সংক্রান্ত পরীক্ষা গ্রহণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং স্কুলের জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে থাকি। আমাদের উদ্ভাবনী কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল পরীক্ষায় বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে অসামান্য পারফরমেন্স করেছে- এজন্য আমরা গর্ববোধ করছি। পরীক্ষা আয়োজন এবং অসামান্য পারফরমেন্স করা শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এ আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
২০১৮ সালে সানিডেইল থেকে কেমব্রিজ এ লেভেল সম্পূর্ণ করা তাসির হক ২০২৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২০ সালে কেমব্রিজ এ লেভেল সম্পন্ন করা শেখ মুনকাসির আহমেদ রাফিদ বর্তমানে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে (বিএসসি) অধ্যয়নরত আছেন। তাসির ও মুনকাসির ইভেন্টে তাদের জীবনের গল্প তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে এস এফ এক্স গ্রীনহেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন। আয়োজনে অন্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সাম ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রাইম্যান, ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সাম অপারেশনসের ডিরেক্টর (পরিচালক) জুনায়েদ আহমেদ।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সারওয়াত রেজার সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
ফোন : ০১৫৪০৫০৩৬৩৪
ই-মেইল: [email protected]