কাঠ পুড়িয়ে কয়লা, হুমকিতে পরিবেশ
অনলাইন রিপোর্ট
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার আব্দুল মান্নান মিয়া নামের এক ব্যক্তি গড়ে তুলেছেন অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা। সেখানে চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিতসহ নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসলাদি। এ ছাড়া আশপাশের এলাকার মানুষ কাশিসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলকান্দী গ্রামে অবৈধভাবে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলকান্দী গ্রামটি অবস্থিত। ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক থেকে গ্রামটির দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটার। সেখানে প্রায় ২২ শতক জায়গাজুড়ে কয়লা তৈরির কারখানা। চারদিকে উঠতি আমন ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি। আর এ কারখানায় নেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতি দফায় ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ৮ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর কয়লা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, দিঘলকান্দী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান ও ভায়রাভাইসহ মেয়ে জামাইকে নিয়ে যৌথভাবে কয়লা তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন। তিন মাস ধরে এখানে গাছের গুঁড়ি দিয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। কারখানায় রয়েছে আটটি চুল্লি। তিন ফসলি জমিতে এ কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। গাছ কাটা ও তা জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও যেন দেখার কেউ নেই। উপরন্তু কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ ও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
স্থানীয় কৃষক মজিবর রহমান বলেন, কয়লা তৈরির কারখানার কালো ধোঁয়ায় আমার রোপা আমন ধানে চিটে হয়ে গেছে। এতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিকার দাবি করছি।
দিঘলকান্দী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, চারপাশে বাড়িঘর আর ফসলি জমি। এর মধ্যে কীভাবে এ রকম একটা কারখানা হয়? প্রশাসন এগুলো দেখভাল করছে না। সারাক্ষণ কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ধোঁয়ার কারণে বয়স্ক আর শিশুরা সব সময় কাশছে। তরুণ-যুবকদেরও একই অবস্থা। এভাবে মানুষ থাকে কীভাবে?
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান বলেন, কাঠ দিয়ে কয়লা তৈরির বিষয়টির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ওইসব কারখানার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
undefined/news/country/199804
ফোন : ০১৫৪০৫০৩৬৩৪
ই-মেইল: [email protected]